#ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
Explore tagged Tumblr posts
Text
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলে হিজাব নিষিদ্ধ করে দেব: ল্য পেন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলে হিজাব নিষিদ্ধ করে দেব: ল্য পেন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট আগামী ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফ্রান্সে।এরই মধ্যে শুরু হয়েছে হিজাব নিয়ে বিতর্ক। নির্বাচনে জিতলে হিজাব নিষিদ্ধ করবেন বলে জানিয়েছেন- ফ্রান্সের ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মেরিন ল্য পেন। এ খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। এক টেলিভিশন বিতর্কে ল্য পেন বলেছেন, আমি যদি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হই, তাহলে দেশে হিজাব নিষিদ্ধ করে দেব। তবে…
View On WordPress
0 notes
Text
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাঁখো-পেনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা
নিউজনাউ ডেস্ক: ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে রবিবার। ২৪ এপ্রিল নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে ডানপন্থী নেতা ম্যারিন লা পেনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেই সঙ্গে তারা ভোটারদের অনুপস্থিতি ও ভোট বর্জনের আশঙ্কার কথাও জুড়ে দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ইউক্রেনের…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/72577
ইতিহাসে ২৬ ডিসেম্বর
৯০১ সালের এই দিনে বিখ্যাত গনিতশাস্ত্রবিদ জাবির ইবনে ফুরবার ইন্তেকাল করেন।
১১৩৫ সালের এই দিনে রাজা স্টিফেনের ইংল্যান্ডের সি��হাসনে আরোহণ।
১১৯৪ সালের এই দিনে জার্মানির সম্রাট দ্বিতীয় ফ্রেডরিক জন্মগ্রহন করেন।
১৫৩০ সালের এই দিনে ভারত উপ-মহাদেশে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মোঃ বাবর ইন্তেকাল করেন।
১৬২৪ সালের এই দিনে জ্যোতির্বিজ্ঞানী সাইমন মারিয়াস মৃত্যুবরণ করেন।
১৭৪৮ সালের এই দিনে দক্ষিণ নেদারল্যান্ডসের ব্যাপারে চুক্তি করে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া।
১৭৯১সালের এই দিনে ব্রিটিশ গণিতজ্ঞ ও কম্পিউটারের উদ্ভাবক চার্লস ব্যাবেজ জন্মগ্রহন করেন।
১৭৯২ সালের এই দিনে রাজদ্রোহ ও বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে ফ্রান্সের শেষ রাজা ষোড়শ লুইয়ের বিচার নিয়ে নির্বাচন শুরু হয়।
১৭৯৩ সালের এই দিনে গেইসবার্গের যুদ্ধে ফ্রান্সের কাছে অস্ট্রিয়ার পরাজয়।
১৮০১ সালের এই দিনে বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন।
১৮০৫ সালের এই দিনে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া শান্তিচুক্তি করে।
১৮৩১সালের এই দিনে সাহিত্যিক , নাট্যকার ও সমাজ সংস্কারক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও মৃত্যুবরণ করেন।
১৮৬১ সালের এই দিনে সাহিত্যিক মুন্সী মেহের্বলৱাহর জন্ম ।
১৮৬২ সালের এই দিনে জাপানি চিত্রশিল্পী কাকুজো ওকাকুরার মৃত্যু।
১৮৮৭সালের এই দিনে সমাজতাত্ত্বিক বিনয় কুমার সরকারের জন্ম।
১৮৯৩ সালের এই দিনে কমিউনিষ্ট চীনের নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৯৮ সালের এই দিনে পিয়ের ও মারি কুরি রেডিয়াম আবিষ্কার করেন।
১৯০৬ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়।
১৯১৩সালের এই দিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়।
১৯১৬ সালের এই দিনে জোসেফ জোফ্রে ফ্রান্সের প্রথম মার্শাল হন।
১৯১৬সালের এই দিনে ছে ইউয়েন পেই পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নিবার্চিত হন।
১৯৩২ সালের এই দিনে চীনের গানসুতে ভূমিকম্পে ৭০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৩৮ সালের এই দিনে চলচ্চিত্র নির্মাতা আলমগীর কবির জন্মগ্রহন করেন।
১৯৩৯ সালের এই দিনে তুরস্কে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়।
১৯৪৩সালের এই দিনে কবি মানকুমারী বসুর মৃত্যু।
১৯৪৯ সালের এই দিনে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করে।
১৯৫০সালের এই দিনে আইরিশ কবি ও ঔপন্যাসিক জেমস স্টিফেনসন মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৬২সালের এই দিনে চীন-মংগোলিয়া সিমান্ত চুক্তি পেইচিং এ স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৬২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ ঢাকার বায়তুল মোকারর�� মসজিদে জুমার নামায আদায়ের মাধ্যমে প্রথম নামাজ পড়া শুরু হয়।
১৯৭২ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি হ্যারি এস. ট্রুম্যান মৃত্যুবরণ করেন ।
১৯৭৮সালের এই দিনে চীনের দক্ষিণাংশের বড় রেলপথ জিলিও রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।
১৯৭৯সালের এই দিনে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের রেড আর্মি আফগানিস্তান দখল করে একটি স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী সামরিক অভিযান শুরু করে।
১৯৮৩সালের এই দিনে ফ্রান্সের ডুবরী সাগরের ৪৫০০ মিটার নীচে অবগাহন করে নতুন বিশ্বের রেকর্ড সৃষ্টি করেন।
১৯৮৪সালের এই দিনে চীনের প্রথম দক্ষিণ মেরু পরিদর্শন দল দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে।
১৯৮৭সালের এই দিনে কথাসাহিত্যিক মনোজ বসু মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯২ সালের এই দিনে মার্কিন কম্পিউটার পুরোধা ডন কেমেনির মৃত্যু।
১৯৯৯সালের এই দিনে চীনের পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুত কেন্দ্র এটেন জলবিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়।
২০০৪সালের এই দিনে ভারত মহাসাগরে প্রায় নয় রিখটার স্কেলের এক ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামী বা সামুদ্রিক জলোচ্ছাস দেখা দেয়। তীব্র গতি-সম্পন্ন ও বিশাল উচ্চতার সামুদ্রিক ঢেউ ভারত মহাসাগর উপকূলে ধেয়ে আসায় শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও থাইল্যান্ডের দুই লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশী মানুষ প্রাণ হারায়।
0 notes
Text
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির বিরোধী দলের নেতা হুয়ান গুইদো।
অন্যদিকে, দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আট দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ফ্রান্স, স্পেন আর জার্মানি। এতে ব্যর্থ হলে হুয়ান গুইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন এই তিন দেশের নেতারা। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট মাদুরো তার প্রতিদ্বন্দ্বীর…
View On WordPress
0 notes
Photo
মানবাধিকার বিপর্যয় সিরিয়ায় রাষ্ট্রের জনগণের নিরাপত্তা বিধান সরকারের একটি অবশ্যকর্তব্য। নাগরিকরা দেশে কিংবা বিদেশে রাষ্ট্রের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু এমন যদি হয় যে সরকার তার নিজ নাগরিকদের সুরক্ষার বদলে তাদের নিধনে বছরের পর বছর নির্যাতন, নিপীড়ন এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সিরিয়ার আসাদ সরকার ২০১১ থেকে সে কাজটিই করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের তৃতীয় তরঙ্গ নামে অভিহিত ‘আরব বসন্তের’ আবির্ভাব ঘটে সিরিয়ায়। ১৯৭০ সাল থেকে রাজতন্ত্রের মতো বংশানুক্রমিক শাসন চলছে সিরিয়ায়। বাথ সমাজতান্ত্রিক দলের আদর্শে মিসরের জামাল আবদুল নাসেরের স্টাইলে ১৯৬৩ সালে কতিপয় সামরিক কর্মকর্তা ��্ষমতা দখল করেন। আরব বিশ্বের অব্যাহত অস্থিরতার বৈশিষ্ট্যগত ‘অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানে’ ১৯৬৬ সালে সালাহ জাদিদ ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন। হাফিজ আল আসাদ ওই সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে ‘শক্ত মানব’রূপে নিজেকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৬৭ সালের জুন যুদ্ধে সিরিয়ার মারাত্মক বিপর্যয়কে সম্বল করে ১৯৭০ সালে হাফিজ আল আসাদ ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন। ১৯৭৩ সালে আসাদ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে আবারও পরাজয় বরণ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে দখলকৃত ভূখণ্ডের বদলে শান্তি স্থাপনের প্রয়াস নেন। ১৯৭৬ সালে লেবাননে সেনা প্রেরণ করে আসাদ তার শক্তি বৃদ্ধি ও ইমেজ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন। ১৯৭৯ সালের ইরানি ইসলামী বিপ্লবের পর সিরিয়ায় অনুরূপ বিপ্লব দেখা দেয়। পরবর্তী বছরগুলোতেও অনুরূপ বিপ্লব সংঘটিত হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে এসব বিপ্লব দমন করা হয়। ২০০০ সালে হাফিজ আল আসাদ মৃত্যুবরণ করেন। বাশার আল আসাদ পিতার স্থলাভিষিক্ত হন। প্রাথমিক অবস্থায় বাশার কিছু নমনীয় নীতি গ্রহণ করলেও শিগগিরই পিতার নির্মমতায় ফিরে যান। ২০১১ সালে বাশারবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে পৌঁছে। এ ক্ষেত্রেও তিনি প্রাথমিকভাবে আপসি মনোভাব দেখালেও পরবর্তীকালে কঠিনতর নির্মমতার নীতি অব্যাহত রাখেন। আসাদবিরোধী আন্দোলন ওই নির্মমতার ফলে গৃহযুদ্ধের রূপ ধারণ করে। অধিকাংশ শহর ও গ্রাম বিরোধীদের দখলে চলে যায়। সেনাবাহিনীর একাংশ বিরোধীদের সমর্থনে এগিয়ে আসে। সর্বত্র ফ্রি সিরিয়ান আর্মি অগ্রাভিযান লক্ষ করা যায়। সিরীয় প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ হিজাব বিদ্রোহীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এরই মধ্যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্য বাশার সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণা করে। জনগণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উত্থাপিত হয় বাশার সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা করেন জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র আবার ব্যবহৃত হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে। এ সময় মার্কিনিদের চাপে সিরীয় বিদ্রোহী জোট থেকে ইসলামপন্থীদের বাদ দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, তুরস্ক এবং উপসাগরীয় দেশগুলো সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন কোয়ালিশনকে সিরীয় জনগণের আইনানুগ সরকার বলে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৩ সালের দিকে প্রাশ্চাত্য সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সঙ্গে ক্রমবর্ধমান ইসলামী শক্তির বিরোধ বাধে। ২০১৪ সালে বাশার সরকারের একঘেয়েমির কারণে জাতিসংঘ আহূত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়। ২০১৪ সালে বাশার সরকারের প্রতি ইরান সম��্থিত হিজবুল্লাহর সমর্থন পরিদৃষ্ট হয়। এ বছরের মাঝামাঝি সময় তথাকথিত ইসলামিক স্টেট সিরিয়ার এক বিরা�� অংশে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ইরানের সমর্থন, ইসলামিক স্টেটের পরিধি এবং ইসলামপন্থীদের প্রভাবের কারণে পাশ্চাত্যের রণকৌশলে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচটি আরব দেশ সিরিয়ার ইসলামী স্টেটের অবস্থানের ওপর বোমা বর্ষণ করে। এদিকে সিরিয়ার কুর্দিরা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এতদসত্ত্বেও ইসলামী শক্তির অগ্রাভিযান অব্যাহত থাকে। ২০১৫ সালের মে মাসে প্রাচীন নগরী পালমিরা দখল করে। জইস আল ফাতাহ নামে একটি ইসলামী গ্রুপ ইদলিব প্রদেশের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করে। এরকম একটি জটিল অবস্থায় পাশ্চাত্য যখন ইসলামী শক্তির বিজয় প্রতিহত করতে ব্যর্থ তখন বাশার আল-আসাদের পরাক্রমশালী প্রভু রাশিয়া ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিরিয়া যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। পাশ্চাত্যকে রাশিয়া নিশ্চিত করে যে তার বোমারু বিমানগুলো শুধু ইসলামী রাষ্ট্রের অবস্থানগুলোর ওপর বোমা বর্ষণ করবে। কিন্তু পাশ্চাত্য দেখতে পায় যে তারা শুধু বাশারবিরোধী বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বোমাবর্ষণ করছে। এভাবে রুশ সহযোগিতায় ক্রমশ বিদ্রোহীরা পিছু হটতে থাকে। ২০১৬ সালের আগস্টে তুর্কিরা সিরীয় বিদ্রোহীদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে যখন বাশার সরকারের বিজয় একরকম নিশ্চিত, তখন কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় ইসলামী শক্তিগুলো বাদে অন্যদের সঙ্গে একটি যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয় সিরীয় সরকার। মূলত এ যুদ্ধ বিরতি ছিল সরকারি বাহিনীর একটি বিভাজন কৌশল। পরে বিশেষত বর্তমান অবস্থা তা প্রমাণ করে। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরীয় বাশার সরকারের বিরুদ্ধে কতিপয় কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু তত দিনে পর্যুদস্ত হয়েছে ফ্রি সিরিয়ান আর্মিসহ বাশারবিরোধী শক্তি। রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর সহযোগিতায় প্রায় সমগ্র এলাকায় বাশার সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বিজয় অর্জনের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিন ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়া সফর করেন এবং মিশন সফল হওয়ার ঘোষণা দেন। সিরিয়ার উত্তরাংশের কুর্দিরা বাশার সরকারের সমর্থনপুষ্ট হয়ে সেখানে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। যেহেতু এ কর্তৃত্ব তুর্কি স্বার্থের বিরোধী, সেহেতু ২০১৮ সালের প্রথম মাসেই তুরস্ক ওই কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখে। এ ধরনের হস্তক্ষেপ সিরীয় সংকটকে বহুমাত্রিকতা দিয়েছে। সমগ্র সিরিয়ায় বাশার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ও এমন কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকা ও অঞ্চল রয়েছে, যেখানে এখনো বিরোধীদের কর্তৃত্ব রয়েছে। এ রকম একটি এলাকার নাম হচ্ছে পূর্ব ঘৌতা। রবার্ট ফিস্কের প্রতিবেদন অনুযায়ী এখানে বিরোধী শক্তির সামরিক অবস্থান নেই। রয়েছে বাশারবিরোধী জনগণের অবস্থান। পূর্ব ঘৌতা অবরোধ করে রেখেছে সরকারি বাহিনী। সেখানে জনগণের প্রতিরোধের মুখে সরকারী বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র থেকে বোমাবর্ষণ—সবকিছুই করছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘৌতার দখলে ছিল আল নুসরা। আল নুসরাকে ��ল-কায়েদার অপভ্রংশ মনে করা হয়। কিন্তু ‘অবিশ্বাস্যভাবে সেখানে একজন সশস্ত্র মানুষকেও দেখা যাচ্ছে না। তথ্যপ্রমাণ এবং ছবি দেখে মনে হয় না সেখানে বাধা দেওয়ার মতো একজন সশস্ত্র লোক অবশিষ্ট আছে।’ হয়তো আল নুসরার অস্ত্রত্যাগীরা সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। তাই পাশ্চাত্য সেখানে প্রতিক্রিয়াহীন। সিরীয় বাহিনীর সঙ্গে রুশ বাহিনী একত্র হয়ে ঘৌতার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। ঘৌতায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নিহত হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মার্ক লোকক বলেন, অবরুদ্ধ পূর্ব ঘৌতা এলাকায় তোনো ত্রাণের বহর যেতে পারেনি। আটকেপড়া লোকদের সরিয়ে নেওয়া কিংবা চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেওয়াও সম্ভব হয়নি, বরং আরো বোমা বর্ষণ, আরো যুদ্ধ ও আরো মৃত্যু, আরো ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। আরো নারী ও শিশু হতাহত হচ্ছে। ক্ষুধা দুর্দশা সবই বাড়ছে। সাধারণ মানুষের সীমাহীন দুর্দশার কথা সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু কেউই আহা উহ! করছে না। ইসলামপন্থী আল নুসরার দোহাই দিয়ে তারা নিজ নিজ দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমাদের বিরাগভাজন হতে কেউই রাজি নয়। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরত সেখানে নির্মম হওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দিচ্ছেন। অন্যান্য শহর এভাবে মুক্ত হওয়ার পর বেসামরিক জনগণকে যেভাবে নিরাপদ স্থানে যেতে দেওয়া হয়েছিল ঘৌতার ক্ষেত্রে তা ঘটছে না। অবশ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ঘৌতায় ৩০ দিনের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার পর ১ মার্চ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি গৃহীত হলেও তা যথার্থভাবে কার্যকর হচ্ছে না। সিরিয়া এ প্রস্তাব মেনে নেয়নি। পরে বাশার সরকারের পক্ষে রাশিয়া দিনে পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধ বিরতি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপরও সরকারী বাহিনীর বোমাবর্ষণ যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে হাস্যকর করে তুলেছে। বিশ্বনেতারা তাঁদের ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেই তাঁদের দায়িত্ব সমাপন করছেন। জার্মান বিবৃতিতে খানিকটা ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায়। চ্যান্সেলর মেরকেলের কার্যালয় থেকে প্রদত্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পূর্ব ঘৌতায় হামলা ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মানবিক সংকটের জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে জবাবদিহি করতে হবে। এই জবাবদিহি রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ, বেসামরিক জনগণের উপর হামলা ও ত্রাণ সহায়তা প্রদানে বাধা দেওয়া—সবকিছুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁর আলাপে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে সিরিয়ায় আর কোনো রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘটলে আসাদকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে না। কোনোভাবেই এটা সহ্য করা হবে না। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পূর্ব ঘৌওতায় বিদ্রোহীরা দামেস্কে বোমাবর্ষণ করছে। আমরা কি তা সহ্য করেই যাব? অবশ্যই না।’ জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের মুখপাত্র রোনাল্ড গোমেজ এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রস্তাব মেনে নিয়ে মানবাধিকার কাউন্সিল সিরিয়া সংকটের বিষয়ে জরুরি অধিবেশনে আলোচনায় সম্মত হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে সম্মত হতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো ব্যর্থ হলে ভোটাভুটি মুলতবি রাখা হয়। বাশারের মিত্র রাশিয়া শান্তির পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তবে বৈঠকে সিরীয় সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের নিন্দা করা হয়। বেসামরিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেইন। সেখানে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞকে যুদ্ধাপরাধ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ‘বিবেকের দূত’ নামের একটি এনজিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে কারাগারে বন্দি অবস্থায় নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার ১৩ হাজার ৫৮১ জন নারীর পরিচয় খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। অনেকে কারাগারে নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘৌতায় গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৬০০ বেসামরিক লোক মৃত্যু বরণ করেছে। ঘৌতার বাসিন্দারা তাদের নিধনকারী সরকার, রুশ আক্রমণ এবং পাশ্চত্যের মৌনতায় একরকম ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রাসায়নিক কর্মসূচিতে ব্যবহৃত সামগ্রীয় সিরিয়ায় পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া�� উপর্যুক্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে যে একজন স্বৈরশাসক কেবল নিজ ক্ষমতার জন্য দীর্ঘ সাত বছর ধরে নিজ জনগণের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। ক্ষমতায় তিনি এতটাই মোহগ্রস্ত যে নিজ দেশকে বোমার আঘাতে আঘাতে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছেন। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার জন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে অপর দেশের বিমানবাহিনীকে টেনে এনেছেন নিজ দেশের জনগণের ওপর বোমা বর্ষণের জন্য। অন্যদিকে বিশ্ব পরাশক্তি তাদের স্ব-স্ব স্বার্থে সিরিয়ায় পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির সহায়তা জুগিয়েছেন। মানবতা তথা গণতন্ত্র তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাদের স্বার্থ সুবিধে ও বিষয়আশয়। যুদ্ধ তা গৃহযুদ্ধ বা পরাশক্তির পরাক্রমের লড়াই—যা হোক না কেন, তা কখনো শান্তির সম্ভাবনা বহন করে না। সিরিয়ায় সরকার ও বিরোধী শক্তির সঙ্গে অবশেষে রুশ মার্কিন সমঝোতার প্রচ্ছন্ন উপস��হার এই ছিল যে, ‘সিরিয়া শাসিত হবে, সিরীয় জনগণের মতামতের দ্বারা।’ বলা হয়েছিল, গণতন্ত্রের অনুশীলন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা সিরীয় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুনিশ্চিত করবে। কিন্তু পরস্পর দ্বন্দ্বে লিপ্ত বাশারবিরোধী পক্ষ গণতন্ত্রের বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গণতন্ত্রের এবং শুধু গণতন্ত্রের অনুশীলনই সিরীয় জনগণের মুক্তির একমাত্র পথ। মনীষী টি এইচ গ্রিনের ভাষায়, ‘ডেমোক্রাসি মে লুজ মেনি ব্যাটলস, বাট উইনস দি লাস্ট’।
0 notes
Text
সিরিয়া সংকটের কারন কি? কে কার পক্ষে? কার কি স্বার্থ? পরিণতি কি হবে?
বিশ্বে এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট ও মানবিক বিপর্যয় বিরাজ করছে সিরিয়ায়। প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায়, টিভির পর্দায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখে পড়ে নারী, শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক নাগরিকের নিহত, আহত হওয়ার খবর। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিপক্ষে শুরু হওয়া আন্দোলন থেকে পরে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ এখন নানা পক্ষের জড়িত হওয়ায় জটিল এক সমীকরনে দাঁড়িয়েছে। ৬ বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে ৬ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। নিহতের এক তৃতীয়াংশই বেসমারিক নাগরিক। শরনার্থী বা ‘রিফিউজি’ এর সংখ্যা ৬০ লাখেরও বেশি।
প্রতিদিনই দেখতে হচ্ছে মানুষের অসহায়ত্বের দৃশ্য এ সংকটের সমাধান কবে হবে সেটা জানা নেই কারো। কিভাবে সিরিয়া যুদ্ধের শুরু হল, এ যুদ্ধে কারা জড়িত, কোন দেশ কাদের পক্ষে, কি তাদের স্বার্থ? কি হতে পারে পরিণতি? সংকটের সুচনাঃ ২০১১ সাল। গণতন্ত্রের দাবীতে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ বিক্ষোভে উত্তাল যা আরব বসন্ত নামে পরিচিত। এরই সুত্র ধরে ২০১১ এর মার্চে সিরিয়ার একনায়ক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পদত্যাগ ও দেশে একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে সিরিয়ার বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। রাজধানী দামেস্ক সহ বড় শহরগুলোয় বিরোধী দল ও সাধারণ জনতার বড় অংশ রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে প্রেসিডেন্ট আসাদ সেনাবাহিনী নামিয়ে দেয়। সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হতে থাকে বিক্ষোভকারীদের অনেকে। দিনে দিনে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকলো। হত্যা, নির্যাতনের অভিযোগে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সিরিয়ার উপরে। ৩ মাসে হাজার ছাড়িয়ে গেল নিহতের সংখ্যা। তবুও রাস্তা ছাড়লো না বিক্ষোভকারীরা। সেনাবাহিনীর অনেকে বাহিনী ছেড়ে চলে আসে। আসাদ বিরোধী বিরোধীদল ও সুন্নি সমর্থকদের সাথে এক হয়ে তারা ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’ নামে নতুন সামরিক বাহিনী। আল ন���সরা , আল কায়েদার মত জঙ্গী গোষ্ঠীও যোগ দেয় এই বিরোধী বাহিনীতে। বাড়তে থাকে যুদ্ধের ব্যাপ্তি। আসাদের বাহিনী ও বিদ্রোহী বাহিনীর মাঝে চলতে থাকে তুমুল লড়াই। আসাদকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে রাশিয়া ও ইরান। লেবাননের গেরিলা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও আসাদের পক্ষে লড়তে এগিয়ে আসে। আর বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা দিতে থাকে আমেরিকা, ইসরাইল, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স , সৌদি আরব। এদিকে যুদ্ধে ৩য় পক্ষ হিসেবে যোগ দেয় আইএস। ইরাকের বিশাল এলাকা দখল করার পর আইএস সিরিয়া দখল করতে অগ্রসর হয়। আইএস এর প্রবেশ পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। আইএস চায় আসাদকে সরাতে, এদিকে আমেরিকাও চায় আসাদকে সরাতে কিন্তু আবার চায় আইএসকে নির্মূল করতে। যুদ্ধে আইএস এর জড়িত হওয়ার ফলেই আমেরিকা আইএস দমনের কথা বলে যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে।
সিরিয়া যেন এখন এক ধ্বংসস্তুপ ২০১২ এর নভেম্বরে আমেরিকা, ইসরাইল, সৌদি আরব ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে ‘জাতীয় পরিষদ’ নামে কাউন্সিল গঠন করে এবং সিরিয়ার প্রশাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু আল কায়েদা ও আল নুসরা জঙ্গি গোষ্ঠির নেতাদের পরিষদে রাখা হয় না। রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের অভিযোগ এনে ও আইএস দমনের কথা বলে কয়েকটি বিমান হামলা করে যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে আমেরিকা। এদিকে আরেকটি পক্ষ হিসেবে ময়দানে নামে কুর্দিরা। এই যুদ্ধের ডামাডোলে কুর্দিরাও তৎপর হয়েছে তাদের জন্য স্বাধীন আবাসভূমির স্বপ্নে। আমেরিকা এগিয়ে এসেছে কুর্দিদের সহায়তায়। ফলে ন্যাটাভুক্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও কুর্দিদের বিপক্ষে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে তুরস্ক। কারন কুর্দিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র হতে দিতে রাজি নয় তুরস্ক। বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহনে সিরিয়া পরিস্থিতি এখন জটিল আকার ধারন করেছে। এবার দেখা যাক কোন দেশের কি স্বার্থ, কেনই বা তারা বিভিন্ন পক্ষকে সহায়তা দিচ্ছে? সিরিয়া যুদ্ধে পক্ষ বিপক্ষ নির্ধারনে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও প্রকৃতিক সম্পদ সবকিছুই ভূমিকা রেখেছে।
বিভিন্ন পক্ষের বিভিন্ন স্বার্থ সিরিয়া সংকটকে করে তুলেছে জটিল আমেরিকা, ইসরাইল, ইংল্যান্ডঃ ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে বাশার আল আসাদের পিতা তৎকালীন সিরিয় প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদ ৩০ হাজার সিরিয় সৈন্যকে বেকা ��পতাকায় মোতায়েন করেন। এসময় ইসরাইলের সাথে কয়েকবার সংঘর্ষও বাঁধে সিরিয়ার সঙ্গে ইসরাইলের বেশ কয়েকটি সংঘর্ষ বাঁধে।তাই ঐতিহাসিকভাবেই সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে শত্রুতা রয়েছে। হাফিজ আল আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসে বাশার আল আসাদ। পিতার মত সেও ইসরাইল বিরোধী নীতিতে অটল থাকেন। হিজবুল্লাহ ও হামাসকে সহায়তা করে আসাদ সরকার। আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমেরিকা ও ইসরাইল অন্তত ৩ বার সেনাবাহিনীতে ক্যু করার চেষ্টা করেছে। তবে কোনবারই চুড়ান্ত সফলতা পায়নি। ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল এর জন্য মাত্র দুইটি দেশ হুমকি হয়ে আছে। ইরান ও সিরিয়া। ইরানকে নানা অবরোধ দিয়ে দাবিয়ে রাখায় চেষ্টা অব্যহত আছে। সিরিয়ায় আসাদ কে সরিয়ে নিজেদের পছন্দমত কাউকে বসাতে পারলে সিরিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। মূলত এ কারনেই স্বাভাবিকভাবেই ইসরাইল, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো আসাদ বিরোধী বিদ্রোহী বাহিনীকে সহায়তা করছে। সৌদি আরবঃ আমেরিকা ও ইসরাইলের মিত্র বলে পরিচিত সৌদি সরকার শিয়াপন্থী আসাদ সরকারকে সরাতে চায় ধর্মীয় মত বিরোধের কারনে ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধিতার কারনে। আবার ইরানের সাথে আসাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারনে স্বাভাবিক ভাবেই আসাদকে সরাতে চায় ইরানের শত্রু ও ওয়াহাবী পন্থী সৌদি আরব। তাই সৌদি আরব চায় আসাদ কে সরিয়ে তাদের মতাদর্শের ও অনুগত কাউকে ক্ষমতায় বসাতে। এ লক্ষ্যে সৌদি আরব বিলয়ন ডলার খরচ করছে বিদ্রোহীদের পক্ষে। কাতারঃ কাতার পারস্য উপসাগর থেকে সিরিয়ার মধ্য দিয়ে তুরস্ক ও ইউরোপে গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে যেতে চায় । কিন্তু রাশিয়ার স্বার্থ চিন্তা করে আসাদ সিরিয়ার মধ্যে দিয়ে এই পাইপ লাইন নিয়ে যেতে অনুমতি দেয় নি। কারন এতে রাশিয়ার ওপর থেকে ইউরোপের প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভরতা কমে যাবে। ফলে কাতারও চায় আসাদের পতন। তাই কাতার আসাদের বিপক্ষে খরচ করেছে বিপুল অর্থ। রাশিয়াঃ মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার দুই বিশ্বস্ত বন্ধু হচ্ছে ইরান ও সিরিয়া। দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারনে পুতিন ও আসাদের সম্পর্কও এখন বেশ ঘনিষ্ঠ। আসাদের পতন হলে সিরিয়া চলে যাবে আমেরিকা , ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে। তাই রাশিয়া সক্রিয়ভাবেই যুদ্ধের ময়দানে ও জাতিসংঘে আসাদের পক্ষে আছে। ২০১২ সালে যুদ্ধের এক পর্যায়ে যখন কোনঠাসা হয়ে গিয়েছিল আসাদ বাহিনী তখন রাশিয়া এগিয়ে না আসলে হয়ত আসাদের চরম সংকটেই পড়তে হতো। মূলত রাশিয়ার সহায়তার কারনেই আসাদের বাহিনী এখন তুলনামুলক ভালো অবস্থানে আছে। ইরানঃ ইসরাইলের সবচেয়ে বড় শত্রু ইরান। আবার সৌদি আরবের সাথেও ইরানের ঐতিহাসিক শত্রুতা। আর আসাদ সরকার ইসরাইল ও সৌদি বিরোধী। এদিকে ইসরাইলকে চাপে রাখতে লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাকে দরকার ইরানের। আর সিরিয়া দিয়েই হিজবুল্লাহকে সহায়তা পাঠাতে হয় ইরানকে। ফলে রাশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বি ইরানও সমর্থন করে আসাদকে। ইরান আসাদের বাহিনীকে সামরিক সাহায্য ও গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করে আসছে। সাহায্য করছে হিজবুল্লাহও তুরস্কঃ সিরিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই তুরস্ক আসাদবিরোধীদের সমর্থন করছে। এর একটি কারন হতে পারে সুন্নি ও শিয়া মতভেদ। আরেকটি কারন কাতার পারস্য উপসাগর থেকে সিরিয়া দিয়ে তুরস্কে প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে যেতে চায়, যা আসাদ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আবার তুরস্ক আমেরিকা, ইংল্যান্ডের সাথে ন্যাটো জোটভুক্ত। ফলে শুরুর দিকে ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মির’ সঙ্গে তারা আসাদবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তবে রাশিয়ার প্রভাবে ও এরদোগানের প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর আসাদ বিরোধী মনোভাব থেকে সরে এসেছে তুরস্ক। বর্তমানে সিরিয়া যুদ্ধে তুরস্কের মূল লক্ষ্য স্বাধীন রাষ্ট্রকামী কুর্দিদের দমন করা। তুরস্ক চায় না কুর্দিরা নতুন এলাকার নিয়ন্ত্রণ পাক। কারন তুরস্কে কুর্দিরা দীর্ঘদিন ধরে তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য। সিরিয়ার যদি কুর্দিরা কোন স্বাধীন এলাকা পেয়ে যায় তাহলে সেটা তুরস্কের কুর্দিদের জন্য নিরাপদ স্থান হবে ও তুরস্কের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে সুবিধা হবে। কি হবে পরিণতি? কে হবে জয়ী? উপরে বিভিন্ন পক্ষ তাদের ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থ থেকে এটা সহজের বুঝা যাচ্ছে সিরিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল আকার ধারন করেছে। এখানে নিরুঙ্কুশ ভাবে বিজয়ী পাওয়া মনে হয় সম্ভব নয়। আমরা সকলেই চাই এই ধ্বংসাত্নক যুদ্ধ বন্ধ হোক। অসহায় নারী, শিশুদের করুন মৃত্যু যেন আর না হয়। কিন্তু শান্তিপুর্ন সমাধানে আসা সহজ হবে না। আসাদ বাহিনী ও বিদ্রোহী পক্ষ দুই পক্ষেরই প্রায় দুই লক্ষ করে সদস্য নিহত হয়েছে। ফলে কোনপক্ষই আরেকপক্ষকে ছাড় দেয়ার মানসিকতায় নেই। আত্নসমর্পন করলেও পরাজিত পক্ষকে মেনে নিতে হবে দীর্ঘ কারাবাস ও নির্যাতন। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে নানা দেশের নানা স্বার্থ। এদিকে ১৮ মার্চ রাশিয়ার নির্বাচন। পুতিন চাইবে নির্বাচনের আগে সিরিয়ার নিজেদের ভাল অবস্থান নিশ্চিত করে জনগনকে আশ্বস্ত করতে। বর্তমানে বিদ্রোহী বাহিনীর চেয়ে আসাদ বাহিনী যুদ্ধে তুলনামূলক ভাল অবস্থায় আছে। তারপরও আ���াদ বাহিনীর বড় সমস্যা লোকবল। পুরো সিরিয়া নিয়ন্ত্রণ করার মত লোকবল আসাদ বাহিনীর এখন নেই। ফলে এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাশিয়া ও ইরানের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হতে পারে আসাদকে। বিদ্রোহী গ্রুপে নানা উপদল থাকায় তাদের মাঝে ঐক্যের অভাব আছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের কোন একক নেতাও নেই। আবার আমেরিকাও বিদ্রোহীদের আগের মত প্রত্যক্ষ সহায়তা করছে না। ফলে কিছুটা কোনঠাসা অবস্থায় আছে বিদ্রোহীরা। আর আইএস এর অবস্থা একেবারেই নাজুক। যুদ্ধে মূলত সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে আইএসের। তবে কুর্দিদের অবস্থানও বেশ শক্ত। আইএসের শক্ত ঘাঁটি রাকা থেকে আইএস কে বিতাড়িত করে রাকা, হাসাকাহসহ বিস্তৃণ অঞ্চল এখন কুর্দিদের দখলে।
সিরিয়ায় কোন এলাকা কার দখলে? লাল চিহ্নিত এলাকা আসাদ বাহিনী, হলুদ কুর্দিদের ও ছাই রঙের এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে (সুত্রঃ আল জাজিরা) যুদ্ধে যদি আসাদ বাহিনী সকল এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েও নেয় তবুও মনে হচ্ছে এ এলাকায় শান্তি সহজে আসবে না। বিদ্রোহী পক্ষ ও আইএস পরাজয়ের পর শান্ত হয়ে যাবে এটা ভাবা যায় না। তারা তখন সম্মুখ যুদ্ধের বদলে হয়ত চোরাগোপ্তা বোমা হামলা চালাবে। আবার এদিকে কুর্দিদের দখলকৃত এলাকায় তুরস্কের অভিযান হয়ত অব্যহত থাকবে। যেমন কিছুদিন আগেই আফরিন এলাকায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে তুরস্ক। আবার আসাদও চাইবে না সিরিয়ার এত বড় এলাকা নিজের নিয়ন্ত্রণে না রেখে কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ফলে জটিল এ পরিস্থিতিতে একমাত্র সমাধান হতে পারে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের সদিচ্ছা। নইলে দীর্ঘমেয়াদি 'গৃহযুদ্ধ' এর অন্ধকারে ডুবে থাকবে এই দেশ। যদি সকল পক্ষ নিজেদের স্বার্থের চিন্তা ত্যাগ করে এ অঞ্চলের অসহায় মানুষের কথা ভেবে, নিষ্পাপ শিশুদের কথাভেবে সত্যি সমাধান চায় তাহলেই কেবল সমাধান আসবে। জাতিসংঘের নিতে হবে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ, বিবদমান পক্ষের মাঝে একটি শান্তিচুক্তি করে মোতায়েন করতে হবে শান্তিরক্ষী বাহিনী। কিন্তু এটা মনে হয় শুধু কল্পনাতেই সম্ভব। নিজ নিজ স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে শান্তির কথা ভাবার মত কোন পক্ষ কি আছে? লেখকঃ আসিফ আল রাজীব Read the full article
0 notes
Text
বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট ও অন্য দলগুলো নির্বাচনমুখী
New Post has been published on http://badwipbarta.com/2017/07/20/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a6%b9-%e0%a7%a8%e0%a7%a6-%e0%a6%a6%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%9c%e0%a7%8b%e0%a6%9f-%e0%a6%93-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%8d/
বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট ও অন্য দলগুলো নির্বাচনমুখী
বদ্বীপ বার্তা ডেস্ক: বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট ছাড়াও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া অন্য দলগুলো আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের কথা আর ভাবছে না। বরং দলগুলোর কার্যক্রম এখন পুরোদমে নির্বাচনমুখী। পাঁচ জানুয়ারির ভোটের সময় ‘নিরপেক্ষ’ সরকারব্যবস্থার পক্ষে স্বতন্ত্র অবস্থানে থাকা এসব দলের এবার কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বাহিনীগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরপেক্ষ ভূমিকার উপরই মনোযোগ দেওয়ার পক্ষে নীতিগত অবস্থান নিয়েছে এসব দল।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্য��� দলগুলো জোটবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। অবশ্য এই প্রক্রিয়া একটু এগিয়ে আবার পিছিয়েও যাচ্ছে। ডান-বাম প্রশ্নের পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতের বিস্তর ফারাক। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই দলগুলোর বেশিরভাগ নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় বসলেও মতের মিল না হওয়ায় এ প্রক্রিয়া আবার পিছিয়ে পড়ে। তবে আগামীতে ‘অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচনের পক্ষে নেতারা একমত হয়েছেন।
রবের বাসায় বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকটি দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে- নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ না বিএনপির পক্ষে, এখনই রাস্তার আন্দোলনে নামবে নাকি পরিস্থিতি আরও পর্যবেক্ষণ করা হবে-এ রকম নানা ইস্যুতে তারা ভিন্ন ভিন্ন মত দেন। বৈঠকে একজন বলেছেন, ‘ধরে নিলাম আমরা জোট বেঁধে আন্দোলন করলাম, নির্বাচনও হলো, ফল হলো আওয়ামী লীগের বদলে বিএনপি ক্ষমতায় এলো, এতে আমাদের কী লাভ! বরং লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।’ আরেক নেতা ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘আমার কাছে যতটুকু খবরাখবর আছে তাতে দেখা যাচ্ছে এ বছরের অক্টোবর নাগাদ অনেক কিছু পরিষ্কার হওয়া যাবে, সুতরাং আমার মতে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারপর আমরা আবার বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’ একটি ডানপন্থি দলের একজন নেতা বলেছেন, ‘বিএনপির পথ ধরে পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে আমরা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বিএনপির জন্য আমরা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবো! সুতরাং আগামীতে আমাদের উচিত হবে ভোটে যাওয়া, এক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে নির্বাচনকে যতটুকু সম্ভব গ্রহণযোগ্য করার পক্ষে আমরা কাজ করতে পারি।’ জানা গেছে, রবের বাসায় যাওয়া নেতাদের বেশিরভাগই এই সর্বশেষ মতকেই সমর্থন করেছেন।
জোট গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ও রবের বাসায় বৈঠকে উপস্থিত থাকা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিভিন্ন ইস্যুতে জোট গঠনের বিষয়টি কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। কেউ বলছেন- আমরা জোট না করে এখন গণতন্ত্রের জন্য কিছু কর্মসূচি নিয়ে এগোতে পারি। এক দল কর্মসূচি দিলে সেখানে অন্যরাও উপস্থিত থাকতে পারি, এভাবে আপাতত কাজ করতে থাকি। কেউ বলেছেন-বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে আমাদের লাভ কি? তখন আমি বলেছি- ফ্রান্স বা ভারতের মতো হয়তো নির্বাচন আমরা করতে পারবো না, কিন্তু অন্তত সম্প্রতি ব্রিটেনের নির্বাচনের মতো করতে পারলেও হবে—তাতে অন্তত একতরফা সংসদ হবে না, এটাও তো কম অগ্রগতি হবে না। পরে কথাবার্তার মধ্য দিয়ে সবাই যেটাতে একমত হয়েছেন সেটা হলো- নির্বাচনটা যেন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেজন্য আমরা কাজ করে যাব।’
উল্লেখ��য, বিএনপিসহ ২০ দল ছাড়াও ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (খালেকুজ্জামান)সহ আরও বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলও পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
রবের বাসায় যাওয়া নেতাদের ছাড়াও আরো কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ জানুয়ারির ভোট বর্জনকারী এই দলগুলো এখন নিজেদের কথা ও নিজ দলের রাজনীতির ভবিষ্যত্ ভাবছেন।
সূত্রমতে, ১৩ জুলাই উত্তরায় ওই বৈঠকে পুলিশি বাধার পর আ স ম রবকে টেলিফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া বিএনপির বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও এবার রজমানে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে ইফতারে গেছেন অধ্যাপক বি. চৌধুরী। ইফতার শেষে বি. চৌধুরীর সঙ্গেও ওবায়দুল কাদের আগামী নির্বাচন নিয়ে আলাপ করেছেন। সূত্রের দাবি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জোটের বাইরে থাকা উল্লেখযোগ্য এই দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের কারো কারো সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ রয়েছে। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ লোকজনের সঙ্গেও দলগুলোর ইতোমধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। গণফোরাম, সিপিবি, বাসদ, জেএসডি, বিকল্পধারা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেও যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হলো— সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ দেখলে তারা নির্বাচনে যাবেন।
পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের পক্ষে অবস্থান ছিল ড. কামাল হোসেনের। তবে এখন তিনি বলছেন, বিদ্যমান সংবিধানেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তার মতে, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। সঙ্গে দরকার দলনিরপেক্ষ জনপ্রশাসন।
বিএনপির জোটে না থাকলেও দলটির সঙ্গে অভিন্নকণ্ঠে এতদিন নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন বিকল্পধারা প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তবে বর্তমানে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে অবশ্যই আমরা তাতে অংশ নেব। এ ব্যাপারে আমাদের পার্টির অবস্থান পজিটিভ।’
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যেজন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছি। নির্বাচনটা যেন অর্থবহ হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে আমরা বামপন্থি ও গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে পৃথক বলয় গড়ে তুলবো। এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, নির্বাচনকালীন কি ধরনের সরকার থাকবে সেটির চেয়ে আমাদের কাছে ধর্তব্য হলো- নির্বাচনে কালো টাকার খেলা ও প্রশাসনের কারসাজি বন্ধ করা এ��ং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা।’ বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, নির্বাচন যদি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে আমরা অবশ্যই অংশ নেব। বামপন্থি, উদার ও গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে আমরা পৃথক একটি বলয় তৈরির চেষ্টা করছি, এ বছরের নভেম্বর নাগাদ হয়তো সেটি কাঠামো পেতে পারে। ইত্তেফাক
0 notes
Text
ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপের ভোট আজ
নিউজনাউ ডেস্ক: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোট আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল)। বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বা মেরি লে পেন দুজন প্রার্থীর একজনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেবেন তারা দেশটির নাগরিকরা। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। এর আগে ১০ এপ্রিল, অনুষ্ঠিত ভোটের প্রথম পর্বে ক্ষমতাসীন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জয় পেয়েছেন। প্রথম পর্বে ডান-বাম এবং…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/71814
ইতিহাসে ৭ জুন
.
১০৯৯ সালের এই দিনে ক্রুসেডাররা জেরুজালেমে প্রবেশ করে।
১৩২৯ সালের এই দিনে স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুসের মৃত্যু।
১৪১৩ সালের এই দিনে নেপলসের রাজা ল্যাডিস্ল রোম দখল করেন।
১৫৪৬ সালের এই দিনে আরড্রেস শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্স ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ইংল্যান্ডের যুদ্ধাবসান।
১৫৫৭ সালের এই দিনে ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৫৬৫ সালের এই দিনে দাক্ষিণাত্যের রাজা হুসাইন নিজাম শাহ’র মৃত্যু।
১৬৫৪ সালের এই দিনে ষোড়শ লুই ফ্রান্সের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৭৬৫ সালের এই দিনে উত্তর পারস্যে ভূমিকম্পে ৪০ হাজার লোকের মৃত্যু।
১৮১০ সালের এই দিনে নবাব সৈয়দ জিনে উদ্দিনের বাংলার মসনদে আরোহণ।
১৮২৬ সালের এই দিনে ইয়োসেফ ফন ফ্রাউনহোফার, একজন জার্মান আলোকবিজ্ঞানী এর মৃত্যু।
১৮৩৭ সালের এই দিনে অ্যাডলফ হিটলারের বাবা অ্যালোইস হিটলারের জন্ম।
১৮৪৮ সালের এই দিনে পল গোগাঁ, প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর এর জন্ম।
১৮৬৩ সালের এই দিনে রোটারি ছাপাখানার মার্কিন উদ্ভাবক রিচার্ড মার্শ হো’র মৃত্যু।
১৮৬৮ সালের এই দিনে সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁর জন্ম।
১৮৭১ সালের এই দিনে খাজা সলিমুল্লাহ, ঢাকার নবাব এর জন্ম।
১৮৭৯ সালের এই দিনে জার্মানীর বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ ও ইরান-বিশেষজ্ঞ আর্নেস্ট হার্টসফিল্ড জন্ম গ্রহণ করেন।
১৮৭৯ সালের এই দিনে ল্যাটিন আমেরিকার তিনটি দেশ পেরু, চিলি ও বলিভিয়ার মধ্যে পাঁচ বছরের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯০৪ সালের এই দিনে সুইডেনের কাছ থেকে নরওয়ের স্বাধীনতা লাভ।
১৯৫২ সালের এই দিনে ওরহান পামুক, ২০০৬ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তুর্কী সাহিত্যিক এর জন্ম।
১৯৫৪ সালের এই দিনে অ্যালান টুরিং, ইংরেজ গণিতবিদ, যুক্তিবিদ ও ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ এর ��ৃত্যু।
১৯৬৬ সালের এই দিনে ছয় দফার সমর্থন ও পূর্ণ আঞ্চলিক স্বা���ত্তশাসনের দাবিতে পূর্ব বাংলায় হরতাল পালিত হয়। পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিহত ও শত শত আহত হয়।
১৯৭০ সালের এই দিনে কাফু, ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলোয়াড় এর জন্ম।
১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ৫শ’ ও ১শ’ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা।
১৯৭৩ সালের এই দিনে বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে সন্তু লারমার নেতৃত্বে শান্তিবাহিনী গঠিত।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডে প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেট।
১৯৮০ সালের এই দিনে মার্কিন লেখক হ্যানরী মিলার পরলোকগমন করেন।
১৯৮০ সালের এই দিনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের জঙ্গীবিমানগুলো ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে অবস্থিত ইরাকী পারমাণবিক স্থাপনায় এক আগ্রাসী অভিযান চালিয়ে তা ধ্বংস কোরে দেয়।
১৯৮৮ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সংসদে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী গৃহীত হবার মাধ্যমে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৯ সালের এই দিনে সুরিনামে বিমান দুর্ঘটনায় ১৬২ জনের মৃত্যু।
১৯৯১ সালের এই দিনে পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২শ’ যাত্রীর প্রাণহানি।
১৯৯২ সালের এই দিনে আজারবাইজানে প্রথম বহুদলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবুলতাজ এলসিবের জয়লাভ।
0 notes
Text
New Post on BDTodays.com
ফ্রান্স নির্বাচন : শেষ দিনের উত্তেজনাপূর্ণ প্রচারণায় ব্যস্ত ম্যাক্রঁ ও লো পেন
বিডিটুডেস আন্তর্জাতিক :ফ্রান্সের পরবর্তী ���্রেসিডেন্ট হওয়ার আশা করা দুই প্রার্থী রোববারের নির্বাচনের আগে তাদের শেষ দিনের প্রচারণায় অনেক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। খবর এএফপি’র। মধ্যপন্থী প্রার্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রোন ভোটারদের কাছে টানতে রোদেজ নগরীর দক্ষিণাঞ্চল সফর করছেন। জনমত জরিপে তিনি তার...
বিস্তারিত এখানেঃ http://bdtodays.com/news/89857
0 notes
Photo
ফ্রান্স নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপে ম্যাক্রন ও লে পেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটের ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন মধ্যপন্থী নেতা ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং চরম-ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মারি লে পেন। ফলে আগামী ৭ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পরস্পরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এ দুই প্রার্থী। ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে অংশ নেন শীর্ষ দুই প্রার্থী। ৯৬ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যায়, ২১ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পাওয়া উগ্র-ডানপন্থী এন এফ পার্টির নেতা মারি লে পেনের সাথে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৩ দশমিক ৯ ভাগ ভোট পাওয়া ম্যাক্রন। এর আগে কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি ম্যাক্রন। প্রথম দফার নির্বাচনে জয়ের পর তিনি বলেন, ‘দেশকে অনিশ্চয়তা আর ভীতি থেকে পরিবর্তনের পথে নেয়ার ইচ্ছাই আমার জয়ের কারণ। গত মাসে এবং আজকেও ফরাসিদের ভয়, অনিশ্চয়তা আর ক্ষোভের কথা শুনতে পাচ্ছি আমি। সেইসাথে পরিবর্তনের প্রত্যাশার কথাও। আর আজকের নির্বাচনে বড় দল দুটোকে প্রত্যাখ্যানের অন্যতম কারণ এটি।’ অন্যদিকে মারি লে পেনও এই বিজয়কে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন। নিজেকে ফরাসি জনগণের প্রতিনিধি দাবি করে তিনি বলেন, তাদেরকে স্বাধীন করার সময় এটি। তিনি বলেন, আমি জনগণের প্রার্থী। সত্যিকারের দেশপ্রেমিকদের প্রতি আমি ভোটের আবেদন জানাচ্ছি- তাদের শেকড় যেখানেই প্রোথিত থাকুক, যেখানেই তাদের উৎস হোক বা প্রথম দফায় তারা যাকেই ভোট দিয়ে থাকুক না কেন। বিজয়ী ��ুজনই মধ্য-ডানপন্থী ফ্রাসোয়া ফিলন এবং চরম-বামপন্থী জঁ-লুক মেলেশনের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন। প্রথম দফার নির্বাচনের পর ম্যাক্রনকে সমর্থন দিয়েছেন নির্বাচনের অপর দুই প্রার্থী সমাজতন্ত্রী প্রার্থী বেনোয়াঁ হ্যামন এবং ফ্রাসোয়া ফিলন। এদিকে, ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদ। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের মুখপাত্রও ম্যাক্রনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রশংসা করেছেন তার ইউরোপের সমর্থনে অবস্থানের জন্য। সেইসাথে ইউরোপীয় নেতারা তাদের সমর্থন জানিয়েছেন মধ্যপন্থী এই নেতাকে। সূত্র: বিবিসি
0 notes
Text
কড়া নিরাপত্তার মাঝে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্রান্স
এসপিবি.এন নিউজ – অনলাইন ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজ ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মাত্র তিনদিন আগেই সেখানে এক বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য মারা যাবার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের সেই হামলার পর ফ্রান্সজুড়ে ৫০ হাজার পুলিশ এবং ৭ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবার জন্য নির্বাচনের প্রথম […]
0 notes
Photo
New Post has been published on https://www.dailymail24.com/2017/04/14839/
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আজ রবিবার, ২৩ এপ্রিল। এই নির্বাচনকে ‘উগ্র জাতীয়তাবাদী’ আর ‘মানবিকতা’র আরও একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কেননা প্যারিসে সাম্প্রতিক হামলার পর একজন বলছেন ফ্রান্সে মসজিদ বন্ধের কথা, অপরজন ভয়কে জয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। তাই বিশ্ব কী সস্তা জনপ্রিয়তার প্রতি ঝুঁকবে, নাকি মানবিকবোধে আরো দৃঢ় হবে? বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন প্রশ্নেরই উত্তর দেবে এই নির্বাচন।
এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেউ না পেলে পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে ৭ মে। নির্বাচনে আরও রয়েছেন মধ্য-ডানপন্থী প্রার্থী ফ্র্যান্সিস ফিলোন এবং বামপন্থী প্রার্থী জিন-লুক মেলেনকন। তারাও ভোটের উল্লেখযোগ্য অংশ পাবেন বলেই ধারণা, তাই প্রথম পর্বের লড়াইয়ে কেউ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তবে প্রথম ও দ্বিতীয়তে যে পেন-ম্যাকরন থাকবেন, তা অনেকেই নিশ্চিত। তাই দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণই বেশি আলোচিত হবে। কারণ তখনই দেখা যাবে ব্রেক্সিট, ট্রাম্পের জয়ের পর আবারও কি জাতীয়তাবাদী একজনের জয় হচ্ছে।
নির্বাচনের মূল প্রতিদন্দ্বী একদিকে যখন কট্টর ডানপন্থী ম্যারি লি পেন অপরদিকে মধ্য-বামপন্থী ইমানুয়েল ম্যাকরন তখনতো এমনটা বলা যেতেই পারে। জাত্যাভিমানি, ইসলাম ও অভিবাসী বিদ্বেষী মার্কিন প্রেসিডন্টের অনুরূপ আদর্শধারী পেনের শক্ত প্রতিপক্ষ ‘বিভাজন বিরোধী’ ম্যাকরন। ট্রাম্পের সমর্থন পেয়েছে প্রথমজন, দ্বিতীয়জন ওবামার।
জাতীয়তাবাদীদের উন্মেষের প্রথম প্রকট প্রদর্শন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে (ব্রেক্সিট) রায়, যার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সেই রেষ ধরে আবারও বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয় ইসলাম-বিদ্বেষী, জাত্যাভিমানি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া। এখন আবার সামনে ফ্রান্স।
ফরাসি রাজনীতিতে জঙ্গিবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আবার নির্বাচনের প্রাক্কালে সেন্ট্রাল প্যারিসের চ্যাম্পস-এলেসিস অ্যাভিনিউয়ে হামলার ঘটনা প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্��ন্ত ফ্রান্সে জঙ্গিবাদের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে অন্তত ২৩৮ জন।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন-এ প্রকাশিত এক বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধে ক্রিস সিলিজা লিখেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এমন কিছু নয় যার দিকে আমি আপনাদের দৃষ্টি দেয়ার কথা বলতে পারি। আসলে এখানে নজর দিতে আকৃষ্ট করাটাও খুব কঠিন। কিন্তু ফ্রান্সে সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতেই শুধু নয়, এই নিবার্চন বিশ্বের জন্য তাৎপর্যবহ।
নির্বাচনপূর্ব অধিকাংশ জরিপেই ইঙ্গিত মেলে লি পেন প্রথম পর্বে প্রথম বা দ্বিতীয় অবস্থানেই থাকবেন। ‘ফ্রান্সের চেতনাকে বিঘ্নিত করছে অভিবাসীরা’ এবং তা ‘কঠোরভাবে কাঁটছাটের’ পক্ষপাতী ঘোষিত জাতীয়তাবাদী এই নেতা অভিবাসী ও ইসলামি সন্ত্রাস নিয়ে কঠোর অবস্থান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর পর দেশটিতে সকল ‘ইসলামিস্ট’ মসজিদ বন্ধের আহ্বান জানান লি পেন। সন্ত্রাসী তালিকায় থাকা সকলকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
নির্বাচনের অনুষ্ঠানের আগে আগে এই হামলা লি পেনের পক্ষেই গেছে বলে ধারণা, যা সন্ত্রাসের ভয়াবহতা আবারও তুলে ধরে। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে (আইএস)। এমন ধারণার পক্ষে মত দিয়েছেন ট্রাম্পও। এপি কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক এই হামলা সম্ভবত লি পেনকে সহায়তা করবে। ‘সীমান্তে লি পেন সবচেয়ে শক্তিশালী, ফ্রান্সে যা ঘটছে তার লড়াইয়েও তিনি সবচেয়ে শক্তিশালী’ বলেন ট্রাম্প।
লি পেনের বিষয়ে ট্রাম্পের এই মন্তব্যের একদিন আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লি পেনের শক্ত প্রতিপক্ষ ম্যাকরনকে আসন্ন দিনগুলির জন্য শুভেচ্ছা জানান। সাবেক ব্যাংকার ম্যাকরন গত বছর আগস্টে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজেই পৃথকভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
লি পেনের কঠোরতার বিপরীতে ম্যাকরনের বক্তব্যও ওবামার মতো। তিনি বলেন, ভয়ের কাছে পরাজিত হবেন না, বিভাজিত হবেন না, ভীতি প্রদর্শনের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। নির্বাচনে সঠিক নিতে ফরাসিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রোববারে আপনারা যে সীদ্ধান্ত নেবেন তা ভবিষ্যতের জন্যই নেবেন।
0 notes
Text
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে যারা?
নিউজনাউ ডেস্ক: ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচন দুটো ধাপে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম ধাপের ভোট হবে ১০ এপ্রিল। ওই রাউন্ডে ফলাফল নির্ধারণ না হলে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট হবে ২৪ এপ্রিল। খবর বিবিসির। প্রার্থী কারা? ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হতে ভোটের লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন। ম্যাক্রোঁসহ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১২ জন।…
View On WordPress
0 notes